তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮
দলীয় জোটের আজকের সমাবেশের আগে গতকাল রোববার বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের
ধরপাকড় শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই হাজার ২০৫ জনকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে ৫৫০ জনকে। বরিশাল থেকে লঞ্চ এবং বগুড়া থেকে ঢাকামুখী বাস চলাচল
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, ঢাকায় বিরোধী দলের আজকের সমাবেশ বানচাল করতে সরকার নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে যাত্রী বোঝাই করে রোববার ও সোমবার ঢাকায় ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েকটি জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বহন করা গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও ভাড়া করা গাড়িগুলোর ভাড়াচুক্তি বাতিল করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে সরকারকে দেওয়া ৯০ দিনের সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আজ সোমবার ঢাকায় পূর্বঘোষিত সমাবেশ করছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। আজ বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের এই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা বক্তব্য দেবেন।
গতকাল সকালে সমাবেশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন, সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সমাবেশে ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দাবি আদায়ে ধাপে ধাপে আন্দোলন জোরদার করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। এ জন্য সরকারকে তাঁরা আরও সময় দেবেন। দাবি মানার জন্য সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেঁধে দেবেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার তাঁদের দাবি মেনে নেয়নি। এখন আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে দলের করণীয় কী হবে, সে ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসন সমাবেশে জানাবেন।
সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার অন্তত দুটি জেলা থেকে ঢাকামুখী লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানান। বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইভাবে বন্ধ রয়েছে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচলও।
গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ২০৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে ৫৫০ জনকে ঢাকায় বিরোধী দলের আজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রাতে বিএনপির এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ১১ জুনের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অহেতুক তল্লাশির নামে হয়রানি এবং ঢাকা অভিমুখে বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনে তল্লাশি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে দলের ২৫ নেতা-কর্মী, গাজীপুর জেলায় ১৬ জন ও খুলনা জেলা ও মহানগরে ১৮ জনসহ সারা দেশে অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবৃতিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
Reference: Prothom-Alo.com
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, ঢাকায় বিরোধী দলের আজকের সমাবেশ বানচাল করতে সরকার নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে যাত্রী বোঝাই করে রোববার ও সোমবার ঢাকায় ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েকটি জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বহন করা গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও ভাড়া করা গাড়িগুলোর ভাড়াচুক্তি বাতিল করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে সরকারকে দেওয়া ৯০ দিনের সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আজ সোমবার ঢাকায় পূর্বঘোষিত সমাবেশ করছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। আজ বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের এই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা বক্তব্য দেবেন।
গতকাল সকালে সমাবেশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন, সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সমাবেশে ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দাবি আদায়ে ধাপে ধাপে আন্দোলন জোরদার করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। এ জন্য সরকারকে তাঁরা আরও সময় দেবেন। দাবি মানার জন্য সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেঁধে দেবেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার তাঁদের দাবি মেনে নেয়নি। এখন আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে দলের করণীয় কী হবে, সে ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসন সমাবেশে জানাবেন।
সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার অন্তত দুটি জেলা থেকে ঢাকামুখী লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানান। বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইভাবে বন্ধ রয়েছে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচলও।
গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ২০৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে ৫৫০ জনকে ঢাকায় বিরোধী দলের আজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রাতে বিএনপির এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ১১ জুনের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অহেতুক তল্লাশির নামে হয়রানি এবং ঢাকা অভিমুখে বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনে তল্লাশি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে দলের ২৫ নেতা-কর্মী, গাজীপুর জেলায় ১৬ জন ও খুলনা জেলা ও মহানগরে ১৮ জনসহ সারা দেশে অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবৃতিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
Reference: Prothom-Alo.com
No comments:
Post a Comment