Allah, on this day, grant me wisdom and awareness, keep me away from foolishness and pretension, grant me a share in every blessing you send down, by your generosity, O the most Generous.
Monday, July 23, 2012
Ramadan Dua: DAY 3
Allah, on this day, grant me wisdom and awareness, keep me away from foolishness and pretension, grant me a share in every blessing you send down, by your generosity, O the most Generous.
Ramadan Dua: DAY 2
Allah, on this day, take me closer towards your pleasure, keep me away from your anger and punishment, grant me the opportunity to recite your verses (of the Qur'an), by your mercy, O the most Merciful.
Saturday, July 21, 2012
Ramadan Dua: DAY 1
Allah, on this day make my fasts of those who fast (sincerely), and my standing up in prayer of those who stand up in prayer (obediently), awaken me in it from the sleep of the heedless, and forgive me my sins, O God of the worlds, and forgive me, O one who forgives the sinners.
Tuesday, July 17, 2012
Your Blood Group indicates your type
রক্তের গ্রুপ জানলেই
বোঝা যাবে মানুষ কেমন
আপনি জানেন কি মানুষের রক্তের গ্রুপ তার কিছু নিজস্ব স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বহন করে। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের মানুষের স্বভাবের স্বভাবগত বিশ্লেষণে।
O+ = 'ও পজিটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ স্বচ্ছ দৃষ্টিসম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
O- = 'ও নেগেটিভ' গ্রুপের মানুষ সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।
A+ = 'এ পজিটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ গোছগাছপ্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্দকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশ্বস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
A- = 'এ নেগেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।
B+ ='বি পজিটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
B- = 'বি নেগেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ অসংযমী, অপরিণামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।
AB+ = 'এবি পজেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধিসম্পন্ন, হিসাবি, পরিকল্পনাবাদী, সৎ, কৌশলী, সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
AB- = 'এবি নেগেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুব বেশি রক্ষণশীল ও বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।
O- = 'ও নেগেটিভ' গ্রুপের মানুষ সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।
A+ = 'এ পজিটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ গোছগাছপ্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্দকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশ্বস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
A- = 'এ নেগেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।
B+ ='বি পজিটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
B- = 'বি নেগেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ অসংযমী, অপরিণামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।
AB+ = 'এবি পজেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধিসম্পন্ন, হিসাবি, পরিকল্পনাবাদী, সৎ, কৌশলী, সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
AB- = 'এবি নেগেটিভ' ব্লাড গ্রুপের মানুষ দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুব বেশি রক্ষণশীল ও বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।
nazrul_russell@yahoo.com; 17 July 2012
Monday, July 16, 2012
creating something learn many
by creating something learn a lot of.
we are busy to create something without any training and by this work we are achieving a lot of knowledge.
we are trying....
we are busy to create something without any training and by this work we are achieving a lot of knowledge.
we are trying....
Monday, July 9, 2012
Padma Bridge
Md.Rashed Alam (from prothom-alo)
২০১২.০৭.০৯ ০৮:৪৮
মানীয় প্রধানমন্ত্রী জনগনের উপর পদ্মা ব্রীজের নামে আরেকটি নতুন যে কফিন এর বানানোর কথা শুরু করছেন সেখানে আমাদের কিন্তু কিছু দাবি আছে , আপনি গনতন্ত্রের মানষ কন্যা , দক্ষিন এশিয়ার গর্ব , । ( সরি আপা আর তেল দিতে পারছি না , চাপায় ব্যাথা হয়েগেছে ) । আমাদের দাবি গুলো হলো
১। পদ্মা ব্রীজ তৈরিতে একমাত্র আবুল হোসেনের ফার্ম কে ঠিকাদারির দ্বায়িত্ব দিতে হবে ।
২। পদ্মা ব্রীজের জন্য সকল ক্রয় কমিটির সভাপতি আ ফ ম মোস্তফাকামাল কে করতে হবে ।
৩। পদ্মা ব্রীজে কোন ধরনে অনৈতিক কাজ বা কাজের গুনগত মান নিয়মিত তদারকির যে কমিটি হবে , তাতে কিন্তু একমাত্র কর্নেল ফারুক খান কে রাখতেই হবে ।
৪। পদ্মা ব্রীজের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য কিন্তু আমাদের সালমান এফ রহমান ছারা অন্য কাউকে দ্বায়িত্ব দেয়া হলে দেশের সাধারন মানুষ মেনে নিবে না । আমাদের প্রানের দাবি এ দ্বায়িত্ব সালমানকেই দিতে হবে । দেখবেন একটা ব্রীজের কথা বলে উনি চার-পাঁচটার দাম সংগ্রহ করে ফেলবে । আপা জনগনের মনের - প্রানের দাবি এই চার খলিফা কে দিয়েই দেশের মানুষের পদ্মা ব্রীজের স্বপ্ন পুরনের কবর রচনা করাতেই হবে ।
পুনশ্চ বিদ্র : আবেদনের শুরুতে যে তৈল দেয়া হয়ছে তা যেন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয় ।
Sunday, July 8, 2012
Condition of Muslim
mycvi gv‡K©U †_‡K evRvi m`vB wb‡q
GK wbKvex †evb g~j¨ cwi‡gv‡ai jvB‡b `vuovj ;K‡qK wgwbU ci, †PKAvDU KvD›Uv‡i Zvi
cvjv Avmj; †PKAvDU KvD›Uv‡i wQj GK wnRve Qvov GK Avie gymwjg †g‡q; †m m`vB
¯‹¨vb Ki‡Z Ki‡Z JׇZ¨i mv‡_ wbKvex †ev‡bi w`‡K ZvKvj Avi ejj,Ód«v‡Ý Avgv‡`i
A‡bK mgm¨v Av‡Q, Avi †Zvgvi wbKve Zvi g‡a¨ GKUv!!
Avgiv, Awfevmxiv, GLv‡b G‡mwQ
e¨vemvi Rb¨, wb‡R‡`i Øxb Avi HwZn¨ †`Lv‡Z Avwmwb!! Zzwg hw` †Zvgvi Øxb cvjb Ki‡Z PvI Avi wbKve
ci‡Z PvI Zvn‡j wb‡Ri Avie †`‡k wd‡i hvI Avi hv Lywk K‡iv!!Ó
wbKvex †evb Zvi e¨v‡M m`vB fiv
_vwg‡q w`j Avi Zvi wbKve Ly‡j †dj—
†PKAvD‡Ui †g‡qUv GKUv av°v †Lj!
wbKvex †g‡qUvi wQj †mvbvjx Pzj Avi bxj †PvL; Ó Avwg divmx †g‡q, Avie Awfevmx
bB; GUv Avgvi †`k Avi, GUvB Avgvi Bmjvg!! †Zvgiv Rb¥MZ gymwjgiv †Zvgv‡`i Øxb
wewK‡q w`‡qQ Avi Avgiv †Zvgv‡`i †_‡K ‡mUv wK‡b wb‡qwQ!Ó
A‡bK cÖZ¨vewZ©Z gymwjg‡`i Bgvb
Rb¥MZ gymwjg‡`i †_‡KI `„p nq!
myenvb Avjvn!
ev¯—weKB, Ó|Bmjvg ïi“ n‡qwQj AvMš‘K
wn‡m‡e Avi Zvici GUv Avevi wd‡i hv‡e AvMš‘K n‡q; myZivs AvMš‘K‡`i mymsev` `vIÓ
(†dmeyK n‡Z Abyw`Z)
evev †Q‡ji msjvc
†Q‡j: evev, AvR evev
w`e‡m †Zvgv‡K PgK jvMv‡bv GKUv wMdU w`e|
evev: bv evev, †Zvi
†Kvb wMdU †`Iqv jvM‡ebv
†Q‡j: wc−R evev bv K‡iv
bv|
evev: ZzB †Zv †Kvb
†ivRMvi Kwim bv|
†Q‡j: †ivRMvi Kwibv
Zv‡Z wK?
evev: †ivRMvi bv Ki‡j wMdU
†Kbvi UvKv cvwe †Kv_vq?
†Q‡j: GB wMdU wKb‡Z
UvKv jvM‡e bv|
evev: †`vKvb`vi wK wMdU
†Zv‡K gvMbv †`‡e?
†Q‡j: evev, GUv gvMbv
wMdUB, GKUvi mv‡_ Av‡iKUv wd«!
evev: ewjm Kx?
†Q‡j: evev, Zzwg GKUz
A‡c¶v Ki wKQz¶‡Yi g‡a¨ wMdU G‡m hv‡e|
evev: G wK? ev”Pvmn
GKUv †g‡q Avmj †h?
†Q‡j: evev, †g‡qUv
Avgvi eD Avi ev”PvUv †Zvgvi bvwZ|
evev w`em Dcj‡¶ †Zvgv‡K
wMdU w`jvg|
কাল ৯ জুলাই।
কাল ৯ জুলাই। সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই ৯ জুলাই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এদিন বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে—এ আতঙ্ক প্রায় সব খানেই ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আসলেই কী ঘটতে যাচ্ছে, ৯ জুলাইয়ে? ইন্টারনেট-ব্যবস্থার পুরোপুরি বিপর্যয়, নাকি কেবল বন্ধ হয়ে যাবে ইন্টারনেট অসচেতন কিছু মানুষের অন্তর্জাল সংযোগ?
অবশ্য সম্প্রতি ডিএনএস চেঞ্জার ওয়ার্কিং গ্রুপের একজন মুখপাত্র এ বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, ৯ জুলাই সারা বিশ্বের ইন্টারনেট-ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসবে—এমনটা ধারণা করা বোকামিই হবে। হয়তো কিছুসংখ্যক কম্পিউটার ব্যবহারকারী ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া ‘ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়্যার’ বা অ্যালুরিয়ন নামের এক ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন।
এ প্রসঙ্গে ডিএনএস চেঞ্জার ওয়ার্কিং গ্রুপের মুখপাত্র ব্যারি গ্রিন জানিয়েছেন, পৃথিবীতে প্রায় ২০০ কোটি কম্পিউটার ব্যবহূত হচ্ছে। যাঁরা তাঁদের কম্পিউটার থেকে অ্যালুরিয়ন নির্মূল করেননি, তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন। অবশ্য অ্যালুরিয়ন ম্যালওয়্যারযুক্ত কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যাও খুব বেশি নয়। যাঁরা অনেক সতর্কতার পরও সচেতন হননি, কেবল তাঁরাই খানিকটা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন। এতে পুরো ইন্টারনেট-ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া এই ম্যালওয়্যারটি থেকে মুক্ত হওয়া সহজ।
ব্যবহারকারীরা তাঁদের কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য http://www.dns-ok.us/ ঠিকানায় ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন। যদি সবুজ সংকেত দেখায়, তবে ম্যালওয়্যারমুক্ত আর লাল সংকেত দেখালে সেই কম্পিউটারে এই ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছে।
অবশ্য এদিকে কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিশ্বে ৯ জুলাই আড়াই লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পিসি ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া ‘ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়্যার’ বা অ্যালুরিয়ন নামের এক ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ‘ডিএনএস চেঞ্জার’ নামের এই ট্রোজান মূলত আক্রান্ত কম্পিউটারের ইন্টারনেট সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় সঠিক ইউআরএল বা ঠিকানা দিলেও ট্রোজান যারা তৈরি করেছে, তাদের ডিএনএস সার্ভার ঘুরে তবেই ওয়েবসাইটটি আসে। এতে হ্যাকাররা ইচ্ছামতো আক্রান্ত কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ডেটিকুই জানিয়েছে, সতর্কতা জারির পরও যেসব কম্পিউটার থেকে ম্যালওয়্যার অপসারণ করা হয়নি, তেমন আড়াই লাখ কম্পিউটার ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অনেক দিন আগেই ট্রোজান ভাইরাস নির্মাতাদের গ্রেপ্তার করেছিল। পাশাপাশি তাঁদের ডিএনএস সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রোজানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনো বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ম্যাক ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে এই ট্রোজান রয়েছে। আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো সচল রাখতে এফবিআই ব্যাকআপ হিসেবে নিজেরাই কিছু সার্ভার বসিয়েছিল। ৯ জুলাই এফবিআই এই সেবাটি বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। এফবিআইয়ের ব্যাকআপ সার্ভারের মাধ্যমে ডিএনএস রাউটিং (একধরনের ডোমেইন নেম সিস্টেম কাঠামো) এখন ঠিকমতো চললেও জুলাইয়ের ৯ তারিখ এফবিআই এসব সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রোজান আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এদিকে এফবিআই জানিয়েছে, আক্রান্ত পিসি ব্যবহারকারীরা যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ৯ জুলাই যখন অস্থায়ী সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন তারা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যার থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সহজ টুল ব্যবহার করে এই ম্যালওয়্যার অপসারণ করা যাবে। যদি কোনো কম্পিউটারে ট্রোজান খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে যেসব অ্যান্টি-ভাইরাস টুল দিয়ে তা নির্মূল করতে হবে তার তালিকা পাওয়া যাবে http://www.dcwg.org/fix/ লিংকে।
কাল ৯ জুলাই। সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই ৯ জুলাই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এদিন বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে—এ আতঙ্ক প্রায় সব খানেই ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আসলেই কী ঘটতে যাচ্ছে, ৯ জুলাইয়ে? ইন্টারনেট-ব্যবস্থার পুরোপুরি বিপর্যয়, নাকি কেবল বন্ধ হয়ে যাবে ইন্টারনেট অসচেতন কিছু মানুষের অন্তর্জাল সংযোগ?
অবশ্য সম্প্রতি ডিএনএস চেঞ্জার ওয়ার্কিং গ্রুপের একজন মুখপাত্র এ বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, ৯ জুলাই সারা বিশ্বের ইন্টারনেট-ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসবে—এমনটা ধারণা করা বোকামিই হবে। হয়তো কিছুসংখ্যক কম্পিউটার ব্যবহারকারী ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া ‘ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়্যার’ বা অ্যালুরিয়ন নামের এক ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন।
এ প্রসঙ্গে ডিএনএস চেঞ্জার ওয়ার্কিং গ্রুপের মুখপাত্র ব্যারি গ্রিন জানিয়েছেন, পৃথিবীতে প্রায় ২০০ কোটি কম্পিউটার ব্যবহূত হচ্ছে। যাঁরা তাঁদের কম্পিউটার থেকে অ্যালুরিয়ন নির্মূল করেননি, তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন। অবশ্য অ্যালুরিয়ন ম্যালওয়্যারযুক্ত কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যাও খুব বেশি নয়। যাঁরা অনেক সতর্কতার পরও সচেতন হননি, কেবল তাঁরাই খানিকটা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন। এতে পুরো ইন্টারনেট-ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া এই ম্যালওয়্যারটি থেকে মুক্ত হওয়া সহজ।
ব্যবহারকারীরা তাঁদের কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য http://www.dns-ok.us/ ঠিকানায় ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন। যদি সবুজ সংকেত দেখায়, তবে ম্যালওয়্যারমুক্ত আর লাল সংকেত দেখালে সেই কম্পিউটারে এই ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছে।
অবশ্য এদিকে কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিশ্বে ৯ জুলাই আড়াই লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পিসি ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া ‘ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়্যার’ বা অ্যালুরিয়ন নামের এক ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ‘ডিএনএস চেঞ্জার’ নামের এই ট্রোজান মূলত আক্রান্ত কম্পিউটারের ইন্টারনেট সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় সঠিক ইউআরএল বা ঠিকানা দিলেও ট্রোজান যারা তৈরি করেছে, তাদের ডিএনএস সার্ভার ঘুরে তবেই ওয়েবসাইটটি আসে। এতে হ্যাকাররা ইচ্ছামতো আক্রান্ত কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ডেটিকুই জানিয়েছে, সতর্কতা জারির পরও যেসব কম্পিউটার থেকে ম্যালওয়্যার অপসারণ করা হয়নি, তেমন আড়াই লাখ কম্পিউটার ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অনেক দিন আগেই ট্রোজান ভাইরাস নির্মাতাদের গ্রেপ্তার করেছিল। পাশাপাশি তাঁদের ডিএনএস সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রোজানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনো বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ম্যাক ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে এই ট্রোজান রয়েছে। আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো সচল রাখতে এফবিআই ব্যাকআপ হিসেবে নিজেরাই কিছু সার্ভার বসিয়েছিল। ৯ জুলাই এফবিআই এই সেবাটি বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। এফবিআইয়ের ব্যাকআপ সার্ভারের মাধ্যমে ডিএনএস রাউটিং (একধরনের ডোমেইন নেম সিস্টেম কাঠামো) এখন ঠিকমতো চললেও জুলাইয়ের ৯ তারিখ এফবিআই এসব সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রোজান আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এদিকে এফবিআই জানিয়েছে, আক্রান্ত পিসি ব্যবহারকারীরা যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ৯ জুলাই যখন অস্থায়ী সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন তারা আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যার থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সহজ টুল ব্যবহার করে এই ম্যালওয়্যার অপসারণ করা যাবে। যদি কোনো কম্পিউটারে ট্রোজান খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে যেসব অ্যান্টি-ভাইরাস টুল দিয়ে তা নির্মূল করতে হবে তার তালিকা পাওয়া যাবে http://www.dcwg.org/fix/ লিংকে।
Saturday, July 7, 2012
Post Counting For 100 of Post
Who have contribute how much? BY the below table we can see at glance...
After 100 dReAm posted more 3 post also.
Contributor Name | Number of Post |
dReAm | 32 |
s h a j p a l | 30 |
Shahed Mohiuddin | 21 |
Mosharrof | 11 |
Ridoy | 4 |
Sayed Mannan | 2 |
Grand Total | 100 |
ভাই এইটা ১০০ তম পোষ্ট... তাই কোনও ঘটনা বা খবর নাই... শুধুই অভিনন্দন... সবাইকে...
ভাই এইটা ১০০ তম পোষ্ট... তাই কোনও ঘটনা বা খবর নাই... শুধুই অভিনন্দন... সবাইকে...
Roswell UFO Incident : পৃথিবীর সবচেয়ে বিতর্কিত ও বিখ্যাত ঘটনা...
আজ থেকে ঠিক ৬৫ বছর আগের ঘটনা। সময়টা ১৯৪৭সালের জুলাইয়ের ২ তারিখ। Roswell শহর থেকে ৭৫কি:মি: দূরের একটি ফার্মে একটি বস্তু ক্র্যাশ করে পড়ে যায়। বিমান ক্র্যাশ করার পর যেরকম দাগের সৃষ্টি হয় সেই জমিতে সেরকম দাগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই বস্তুটি কোন বিমান নয়। এমনকি হয়তো এই পৃথিবীর তৈরী কোন কিছু নয়। এমন একটা জিনিস ছিলো সেটি যা নিয়ে পৃথিবীতে যুগের পর যুগ তর্ক হতে থাকবে। সৃষ্টি হবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নজিরবিহীন লুকোচুরির খেলা। হয়তো সত্যকে চাপা দেয়া এক চেষ্টা।
এই ছবিটি কে তুলেছিলো বা ছবির সত্যতা জানা যায় নি
ঘটনার শুরু এবং আসল ঘটনা
এবার চলুন কয়েকদিন পিছন থেকে একটু ঘুরে আসি। ১৯৪৭ সালের ২৪শে জুন পাইলট Kenneth Arnold ডিস্ক বা ঘূর্ণায়মান সসার আকৃতির বস্তু প্রচন্ড তীব্রবেগে ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে উড়তে দেখেছেন বলে তার বেজে রিপোর্ট করেন। ঠিক সেই দিনটির পর থেকেই আকাশে ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তু অনেকে উড়তে দেখেছে বলে সমগ্র আমেরিকার পেপারে রিপোর্ট আসতে শুরু করে।
এরপর ১৯৪৭সালের জুলাই মাসের ২তারিখের Roswell শহরের ঘটনা। একটি ফার্মের মালিক William "Mack" Brazel তার জমিতে সেদিন বিশাল আকারের কোন বস্তু ক্র্যাশ করার দাগসহ একটি ডিস্ক আকৃতির বস্তু এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রচুর মেটালিক টাইপের বস্তু দেখতে পান।
সেই বিখ্যাত ক্র্যাশ সাইট
কিন্তু তিনি সেগুলো নিয়ে বেশী ঘাটতে ভয় পেতে লাগলেন। এমনকি তেমন কাউকে না জানিয়ে পরিচিত কয়েকজনের পরামর্শে তিনি সাথে সাথে স্থানীয় শেরিফ Wilcox এর কাছে ব্যাপারটা জানান। তারপর কি জানি কি বুঝতে পেরে শেরিফ সাথে সাথে Roswell শহরের USAAF airbase এ যোগাযোগ করে বলেন যে “তারা দূর্ঘটনায় আক্রান্ত ডিস্ক আকৃতির একটি বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন।”
সেই USAAF airbase বেজ কমান্ডার Colonel William Blanchard সাথে সাথে তার প্রধান ইন্টিলিজেন্স অফিসার Major Jesse Marcel এবং Sheridan Cavitt সেই জায়গাটিতে আসল ঘটনা জানতে এবং তদন্ত করতে পাঠান। Marcel এবং Cavitt সেই জমির মালিককে নিয়ে সেই জায়গাটিতে যায়।
তিনজন সেখানে যাওয়ার পর আসলে কি করেছিলো সেটা আজও সঠিক করে জানা যায়নি। কারণ কাউকে সেই জায়গাটির ধারেকাছেও ঘেষতে দেয়া হচ্ছিলো না। অনেক চেষ্টা করেও পরে সেই জমির মালিক Brazel এর কাছ থেকে কোন কিছুই জানা সম্ভব হয়নি।
শিল্পীর চোখে সাইটটিতে যাওয়া তারা তিনজন
তারা সেদিন অর্ধেক ধ্বংসাবেষ নিয়ে ফেরত যায়। সাথে সেই জায়গাটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়। কারো পক্ষে ঢুকাতো দূরের কথা দেখাও অসম্ভব হয়ে পড়ে সেই জায়গাটিকে। পুরো জায়গাটিকে সামরিক কর্মকর্তারা ঘিরে রাখে। জুলাইয়ের ৭তারিখের মাঝে সেই জায়গাটিকে একদম পরিস্কার করে ফেলা হয়। সবকিছুর চিহ্ন মুছে ফেলা হয় সেখান থেকে।
অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলন
পরেরদিন ৮তারিখে বেজ কমান্ডার Col. Blanchard একটি অফিসিয়াল প্রেস রিপোর্ট রিলিজ করে। যাতে স্পষ্ট করে লেখা ছিলো ‘গত সপ্তাহের কোন একটা সময়ে’ Roswell এর একটি জমিতে ‘ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার’ পাওয়া গেছে। যা তাদের অফিসার দ্বারা নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং উচ্চতর পরীক্ষার জন্য বিশেষ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।
পেপারে ছাপানো সেই প্রেস রিলিজ
United Pressও তাদের রিপোর্টে বলে যে সেই জমির কাছাকাছি স্থানীয় বেশ কয়েকজন কয়েকদিন আগে রাত ৩টার দিকে সেই জমির কাছে অদ্ভূত নীল রংয়ের আলো দেখতে পেয়েছেন।
অফিসিয়াল প্রেস রিপোর্টে খুব স্পষ্ট করে এবং কনফার্ম করেই সেই ‘ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার’ এর কথা বলা ছিলো। অন্য কিছু নয়। তারা স্পষ্ট করেই বলে দেয় যে তারা একটি অসনাক্ত ডিস্ক বা সসারের সন্ধান পেয়েছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী দম্পত্তির ভাষ্য
সেখানকার বাসিন্দা Mr. and Mrs. Dan Wilmot সম্ভবত একমাত্র মানুষ ছিলেন যারা দাবি করেন তারা সেই উড়ন্ত সসারটিকে দেখেছিলেন। তারা তাদের বাসার বাইরে বসে ছিলেন সেদিন। রাত মনে হয় ১০টা বাজে তখন। হঠাৎ আকাশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে তারা তীব্র আলোর একটি বস্তু প্রচন্ডবেগে উড়ে আসতে দেখেন। ঠিক সেই জমির কাছাকাছি। সেটি মনে হয় ৪০-৫০সেকেন্ড দৃশ্যমান ছিলো। সাথে সাথে আবার গায়েব হয়ে যায় তা।
তাদের ধারণায় বস্তুটি সম্ভবত ১৫০০ ফুটের মত উপরে ছিলো এবং প্রায় ঘন্টায় ৪০০-৫০০ কিমি বেগে ছুটতে ছিলো।
এই দম্পতি সেই শহরের সবচেয়ে সম্মানিত বাসিন্দা। সুতরাং তাদের কথা কেউ উড়িয়ে দিতে পারে নি পরে।
সত্যকে ধামাচাপা এবং বিখ্যাত লুকোচুরির খেলা
সবকিছুই চলছিলো স্বাভাবিক নিয়মে। সবাই প্রস্তুত ছিলো হয়তো মনে মনে যে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক খবর মনে হয় সবাই সামনেই শুনতে যাচ্ছে। সরকার থেকেই ঘোষণা আসবে যে এই সৌরজগতে আমরা একলা নই। সেই ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তুটি আমাদের পৃথিবীতে তৈরী কোন জিনিস নয়। অন্য কোন গ্রহে সৃষ্টি হয়েছে এটির।
কিন্তু ঠিক একদিন পরেই জুলাই মাসের ৯ তারিখ থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত লুকোচুরীর খেলা শুরু হয়ে গেলো। সত্যকে লুকিয়ে ফেলা হলো।
আগেরদিন স্বীকারের ঠিক ১দিন পর Brig. Gen. Roger M. Ramey নতুন করে সংবাদ সম্মেলন করে সবার সামনে ঘোষণা দিলেন যে রহস্যের সমাধান হয়ে গেছে। তারা একটি ছোট্ট ভুল করেছিলো। আসলে আগেদিনের প্রেস রিলিজে তারা যে ডিস্ক বা সসারের কথা বলেছিলো সেটি সম্পূর্ণ ভুল। উদ্ধার করা সেই বস্তুটি হলো একটি সাধারণ weather balloon !!!!! যেটি সেই জমিতে দূর্ঘটনায় পড়ে কয়েকদিন আগে।
১দিনের মাঝে সব অস্বীকার
সেই জমির মালিক এবং প্রথম সবাইকে খবর দেয়া Brazel এরও কথার সুর পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি বলেন যে, আসলে সেই সময়টিতে আমি বেশ তাড়াহুড়া ও টেনশনে ছিলাম। তাই ঠিকমতো সেই বস্তুটির দিকে তাকাতে পারিনি। তাই হয়তো ভুল বলে ফেলেছিলাম। আসলে সেটি একটি সাধারণ Weather Balloon ছিলো। আর কিছুই না!!!!!!!!
তদন্তকারী এবং আগেরদিনের প্রেস রিলিজ দেয়া Major Marcelও তার ভুল বুঝতে পেরে একদিনের মাঝে সবাইকে নতুন কথা শুনাতে থাকেন!!!! তিনি আগেরদিনের প্রেস রিলিজের স্টেটম্যান্ট সম্পূর্ণ ভুল বলে বলেন যে আসলে তারা একটি Weather Balloon এর ধ্বংসাবেশ উদ্ধার করেছিলো!!!!! এমনকি উপস্থিত সবাইকে সেই বেলুনের ছোট ধ্বংসাবেশও দেখানো হয়।
এইটা নাকি সেদিন উদ্ধার করেছিলো!!! কিসের মাঝে কি??
আজব এক অবস্থা!!!! সাংবাদিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ সবাই অবাক। এভাবে মানুষ মিথ্যা কথা বলতে পারে ???? তাও আবার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা!! একদিনের মাঝে একটি ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার Weather Balloon হয়ে যায় কি করে??? আসলে কি লুকাতে চাচ্ছে তারা??? সবাই প্রতিবাদ করে। কিন্তু সরকার আমলেই নেয় না কারো কথা।
পরবর্তীতে ফাস হয়ে যাওয়া কিছু বক্তব্য
এভাবেই একটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে সরকার। কিন্তু সেই Major Marcel পরে একসময় এই কথাটা স্বীকার করে যে তিনি Brig. Gen. Roger M. Ramey নির্দেশে পরে সব কাজ করে গেছেন। উপরের মহল থেকে এসব অর্ডার আসতে শুরু করে এবং একজন অফিসার হিসেবে তিনি সব মানতে বাধ্য। যদিও Marcel আসলে সেদিন তারা সেই জমিতে আসলে কি পেয়েছিলো এরকম প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Major Marcel
সেই জমির মালিক Brazel আরো শক্ত মানুষ। তার মুখ থেকে জুলাইয়ের ৯তারিখের পর থেকে তিনি বেচে থাকা পর্যন্ত কোন কথাই বের করা যায় নি। অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে তার মুখ থেকে সত্য কথাটি বের করার জন্য। জানতে চাওয়া হয়েছে ঠিক কোন কারণে তিনি মাত্র ১দিনের মাঝে তার বক্তব্য পরিবর্তন করে ফেললেন!!! কিন্তু কোন কথাই বলতে চাইলেন না আর তিনি এই ব্যাপারে। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে এক সাক্ষাতকারে স্বীকার করেন যে জুলাইয়ের ৮তারিখে তার বাবাকে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে শপথ করানো হয় যে তিনি এই ঘটনার ব্যাপারে কোনদিন কারো কাছে মুখ খুলবেন না। ঠিক কি বিষয়ে কথা বলবেন না এইটার কারণও তিনি তার ছেলেদের দেন নি। শুধু ছেলেদের তিনি এই শপথের ঘটনার কথা জানিয়ে যান।
জমির মালিক বিখ্যাত William "Mack" Brazel
এভাবেই একটি গুরুত্বর্পর্ণ ঘটনাকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা ভাবেনি এই বিতর্ক আজ এতদিন পরেও ৬৫বছর পরেও এসে চলবে। মানুষজন বিশ্বাস করতেই নারাজ সরকারের এইসব দাবিকে। সবার ধারণা আসলেই সেদিন পৃথিবীর বাইরে থেকে কিছু একটা এসেছিলো। যেটা সাধারণ মানুষকে সরকার দেখতে দিতে চায় না। আজ ৬৫ বছর পরেও সেই Roswell ঘটনার ফাইলটি আমেরিকার টপ সিক্রেট ফাইলটির মাঝে একটি। সরকারের অনেক উচু লেভেলে হাতেগোণা কয়েকজন সেই ফাইলটি দেখতে পায়। তারাই জানে আসল ঘটনা।
এখন অন্য সবার মতো আমারও শুধু তাদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন:
* একটি ওয়েদার বেলুন এবং ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তুর মাঝে আকার-আয়তনে অনেক পার্থক্য। ডিফেন্সের উচু অফিসারদের কি করে এত বড় ভুল হয়ে গেলো যে তারা সামনা সামনি দেখে এবং হেডকোয়ার্টারে বস্তুটি ধ্বংসাবেষ পৌছে দেয়ার পরেও জুলাই ৮তারিখ পর্যন্ত সেটিকে ডিস্ক বা সসার বলে ভেবে নিয়েছিলো???
** আচ্ছা ঠিক আছে আপনাদের কথাই ঠিক। এইটা আসলে ওয়েদার বেলুনই। ওয়েদার বেলুনের দূর্ঘটনায় পড়ার অনেক ইতিহাস রয়েছে আমেরিকায়। তাহলে Roswell এর এই সাধারণ একটি ওয়েদার বেলুনের দূর্ঘটনাকে এত নিরাপত্তা এবং গোপনীয় করে রাখার দরকার কি?? গোপন করে রাখার একটি সীমা আছে......সাধারণ একটা ঘটনাকে এতই গোপনীয় করে কেন রাখা হলো যে আজ ৬৫বছর পরেও কেন কেউই এই সম্পর্কে জানতে পারবে না???
সরকার থেকে দেয়া এই রিপোর্টটি পড়ুন। ১৯৫০সালের এই রিপোর্টেও সেইখানে সসারের মতো বস্তু পাবার কথা লেখা আছে।
আর Major Marcel তো পরে স্বীকার করেই নিয়েছেন যে Brig. Gen. Roger M. Ramey এই ঘটনাটি নিয়ে একটি কভার স্টোরি বানিয়েছেন, মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন এবং তিনি তার নির্দেশ অনুযায়ী সেসময় কাজ ও সব কথা বলে গেছেন।
এলিয়েন থাকার দাবী:
আরেকটা মজার ঘটনা পরে এখনো অনেকে বলে। বলা হয়ে থাকে যে এই Roswell ক্র্যাশ সাইট থেকে সেদিন বাইরের পৃথিবীর কোন বা এলিয়েন উদ্ধার করা হয়।
এটা নিয়ে পরে অনেকের মত:
*সেই বস্তুটির ধ্বংসাবেষ যখন হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হচ্ছিলো তখন কঠোর গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়। সরকারের অণেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আনাগোনা দেখা শুরু হয় সেখানে। সবকিছুকে ছাপিয়ে একটি বিশেষ বক্সের মতো জিনিসকে নিয়ে সবার মাঝে চাপা উত্তেজনা ছিলো। কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে সেটির কাছে ঘেষতে দেয়া হচ্ছিলো না।
**সেই জমির মালিক Brazel তার মৃত্যুর আগে তার ছেলেকে বলে গিয়েছিলেন যে তিনিও সেদিন বস্তুটি ছাড়াও অণ্য কিছু একটা দেখতে পেয়েছিলেন। মানুষ নয় অন্য কিছু!!!!
***সবচেয়ে অবাক করার মতো কথা বলেন Project Apollo astronaut Dr. Edgar Mitchell। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন যে: Roswell এর ঘটনা সবার থেকে চাপিয়ে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভুল বুঝবেন না আমি কিন্তু একজন নভোচারী হিসেবে অনেক কিছুই জানতে পারি পরে এসে। খুব কম মানুষই ঘটনাটি জানে এবং আমার ধারণা মতে কোন এলিয়েন পাওয়া যেতে পারে সেদিন।
###সবশেষে এই Roswell এর ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই চমৎকার ডকুমেন্টারীর লিংকটি দিলাম। জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই দেখবেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাত আছে। সায়েন্টিফিকভাবে পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি দিয়ে আসল ঘটনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পড়া শেষ!!! কি মনে হয় এখন আপনার??? কি হয়েছিলো আসলে সেদিন??? আসলেই কি সেদিন পৃথিবীর বাইরের কোন কিছু পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিলো??? কেনই বা সবার কাছে থেকে সেদিন সবকিছু গোপন করে রাখা হলো???? তাহলে এমন কি তথ্য পেয়েছিলো তারা সেদিন যা মানুষ জানলে সমস্যা হতে পারে???? না আসলেই সেটা ওয়েদার বেলুন ছিলো???? তাহলে এত নাটক এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তাই বা কেন?????
এই ছবিটি কে তুলেছিলো বা ছবির সত্যতা জানা যায় নি
ঘটনার শুরু এবং আসল ঘটনা
এবার চলুন কয়েকদিন পিছন থেকে একটু ঘুরে আসি। ১৯৪৭ সালের ২৪শে জুন পাইলট Kenneth Arnold ডিস্ক বা ঘূর্ণায়মান সসার আকৃতির বস্তু প্রচন্ড তীব্রবেগে ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে উড়তে দেখেছেন বলে তার বেজে রিপোর্ট করেন। ঠিক সেই দিনটির পর থেকেই আকাশে ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তু অনেকে উড়তে দেখেছে বলে সমগ্র আমেরিকার পেপারে রিপোর্ট আসতে শুরু করে।
এরপর ১৯৪৭সালের জুলাই মাসের ২তারিখের Roswell শহরের ঘটনা। একটি ফার্মের মালিক William "Mack" Brazel তার জমিতে সেদিন বিশাল আকারের কোন বস্তু ক্র্যাশ করার দাগসহ একটি ডিস্ক আকৃতির বস্তু এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রচুর মেটালিক টাইপের বস্তু দেখতে পান।
সেই বিখ্যাত ক্র্যাশ সাইট
কিন্তু তিনি সেগুলো নিয়ে বেশী ঘাটতে ভয় পেতে লাগলেন। এমনকি তেমন কাউকে না জানিয়ে পরিচিত কয়েকজনের পরামর্শে তিনি সাথে সাথে স্থানীয় শেরিফ Wilcox এর কাছে ব্যাপারটা জানান। তারপর কি জানি কি বুঝতে পেরে শেরিফ সাথে সাথে Roswell শহরের USAAF airbase এ যোগাযোগ করে বলেন যে “তারা দূর্ঘটনায় আক্রান্ত ডিস্ক আকৃতির একটি বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন।”
সেই USAAF airbase বেজ কমান্ডার Colonel William Blanchard সাথে সাথে তার প্রধান ইন্টিলিজেন্স অফিসার Major Jesse Marcel এবং Sheridan Cavitt সেই জায়গাটিতে আসল ঘটনা জানতে এবং তদন্ত করতে পাঠান। Marcel এবং Cavitt সেই জমির মালিককে নিয়ে সেই জায়গাটিতে যায়।
তিনজন সেখানে যাওয়ার পর আসলে কি করেছিলো সেটা আজও সঠিক করে জানা যায়নি। কারণ কাউকে সেই জায়গাটির ধারেকাছেও ঘেষতে দেয়া হচ্ছিলো না। অনেক চেষ্টা করেও পরে সেই জমির মালিক Brazel এর কাছ থেকে কোন কিছুই জানা সম্ভব হয়নি।
শিল্পীর চোখে সাইটটিতে যাওয়া তারা তিনজন
তারা সেদিন অর্ধেক ধ্বংসাবেষ নিয়ে ফেরত যায়। সাথে সেই জায়গাটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়। কারো পক্ষে ঢুকাতো দূরের কথা দেখাও অসম্ভব হয়ে পড়ে সেই জায়গাটিকে। পুরো জায়গাটিকে সামরিক কর্মকর্তারা ঘিরে রাখে। জুলাইয়ের ৭তারিখের মাঝে সেই জায়গাটিকে একদম পরিস্কার করে ফেলা হয়। সবকিছুর চিহ্ন মুছে ফেলা হয় সেখান থেকে।
অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলন
পরেরদিন ৮তারিখে বেজ কমান্ডার Col. Blanchard একটি অফিসিয়াল প্রেস রিপোর্ট রিলিজ করে। যাতে স্পষ্ট করে লেখা ছিলো ‘গত সপ্তাহের কোন একটা সময়ে’ Roswell এর একটি জমিতে ‘ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার’ পাওয়া গেছে। যা তাদের অফিসার দ্বারা নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং উচ্চতর পরীক্ষার জন্য বিশেষ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।
পেপারে ছাপানো সেই প্রেস রিলিজ
United Pressও তাদের রিপোর্টে বলে যে সেই জমির কাছাকাছি স্থানীয় বেশ কয়েকজন কয়েকদিন আগে রাত ৩টার দিকে সেই জমির কাছে অদ্ভূত নীল রংয়ের আলো দেখতে পেয়েছেন।
অফিসিয়াল প্রেস রিপোর্টে খুব স্পষ্ট করে এবং কনফার্ম করেই সেই ‘ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার’ এর কথা বলা ছিলো। অন্য কিছু নয়। তারা স্পষ্ট করেই বলে দেয় যে তারা একটি অসনাক্ত ডিস্ক বা সসারের সন্ধান পেয়েছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী দম্পত্তির ভাষ্য
সেখানকার বাসিন্দা Mr. and Mrs. Dan Wilmot সম্ভবত একমাত্র মানুষ ছিলেন যারা দাবি করেন তারা সেই উড়ন্ত সসারটিকে দেখেছিলেন। তারা তাদের বাসার বাইরে বসে ছিলেন সেদিন। রাত মনে হয় ১০টা বাজে তখন। হঠাৎ আকাশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে তারা তীব্র আলোর একটি বস্তু প্রচন্ডবেগে উড়ে আসতে দেখেন। ঠিক সেই জমির কাছাকাছি। সেটি মনে হয় ৪০-৫০সেকেন্ড দৃশ্যমান ছিলো। সাথে সাথে আবার গায়েব হয়ে যায় তা।
তাদের ধারণায় বস্তুটি সম্ভবত ১৫০০ ফুটের মত উপরে ছিলো এবং প্রায় ঘন্টায় ৪০০-৫০০ কিমি বেগে ছুটতে ছিলো।
এই দম্পতি সেই শহরের সবচেয়ে সম্মানিত বাসিন্দা। সুতরাং তাদের কথা কেউ উড়িয়ে দিতে পারে নি পরে।
সত্যকে ধামাচাপা এবং বিখ্যাত লুকোচুরির খেলা
সবকিছুই চলছিলো স্বাভাবিক নিয়মে। সবাই প্রস্তুত ছিলো হয়তো মনে মনে যে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক খবর মনে হয় সবাই সামনেই শুনতে যাচ্ছে। সরকার থেকেই ঘোষণা আসবে যে এই সৌরজগতে আমরা একলা নই। সেই ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তুটি আমাদের পৃথিবীতে তৈরী কোন জিনিস নয়। অন্য কোন গ্রহে সৃষ্টি হয়েছে এটির।
কিন্তু ঠিক একদিন পরেই জুলাই মাসের ৯ তারিখ থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত লুকোচুরীর খেলা শুরু হয়ে গেলো। সত্যকে লুকিয়ে ফেলা হলো।
আগেরদিন স্বীকারের ঠিক ১দিন পর Brig. Gen. Roger M. Ramey নতুন করে সংবাদ সম্মেলন করে সবার সামনে ঘোষণা দিলেন যে রহস্যের সমাধান হয়ে গেছে। তারা একটি ছোট্ট ভুল করেছিলো। আসলে আগেদিনের প্রেস রিলিজে তারা যে ডিস্ক বা সসারের কথা বলেছিলো সেটি সম্পূর্ণ ভুল। উদ্ধার করা সেই বস্তুটি হলো একটি সাধারণ weather balloon !!!!! যেটি সেই জমিতে দূর্ঘটনায় পড়ে কয়েকদিন আগে।
১দিনের মাঝে সব অস্বীকার
সেই জমির মালিক এবং প্রথম সবাইকে খবর দেয়া Brazel এরও কথার সুর পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি বলেন যে, আসলে সেই সময়টিতে আমি বেশ তাড়াহুড়া ও টেনশনে ছিলাম। তাই ঠিকমতো সেই বস্তুটির দিকে তাকাতে পারিনি। তাই হয়তো ভুল বলে ফেলেছিলাম। আসলে সেটি একটি সাধারণ Weather Balloon ছিলো। আর কিছুই না!!!!!!!!
তদন্তকারী এবং আগেরদিনের প্রেস রিলিজ দেয়া Major Marcelও তার ভুল বুঝতে পেরে একদিনের মাঝে সবাইকে নতুন কথা শুনাতে থাকেন!!!! তিনি আগেরদিনের প্রেস রিলিজের স্টেটম্যান্ট সম্পূর্ণ ভুল বলে বলেন যে আসলে তারা একটি Weather Balloon এর ধ্বংসাবেশ উদ্ধার করেছিলো!!!!! এমনকি উপস্থিত সবাইকে সেই বেলুনের ছোট ধ্বংসাবেশও দেখানো হয়।
এইটা নাকি সেদিন উদ্ধার করেছিলো!!! কিসের মাঝে কি??
আজব এক অবস্থা!!!! সাংবাদিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ সবাই অবাক। এভাবে মানুষ মিথ্যা কথা বলতে পারে ???? তাও আবার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা!! একদিনের মাঝে একটি ফ্লাইং ডিস্ক বা সসার Weather Balloon হয়ে যায় কি করে??? আসলে কি লুকাতে চাচ্ছে তারা??? সবাই প্রতিবাদ করে। কিন্তু সরকার আমলেই নেয় না কারো কথা।
পরবর্তীতে ফাস হয়ে যাওয়া কিছু বক্তব্য
এভাবেই একটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে সরকার। কিন্তু সেই Major Marcel পরে একসময় এই কথাটা স্বীকার করে যে তিনি Brig. Gen. Roger M. Ramey নির্দেশে পরে সব কাজ করে গেছেন। উপরের মহল থেকে এসব অর্ডার আসতে শুরু করে এবং একজন অফিসার হিসেবে তিনি সব মানতে বাধ্য। যদিও Marcel আসলে সেদিন তারা সেই জমিতে আসলে কি পেয়েছিলো এরকম প্রশ্নের জবাবে কোন উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Major Marcel
সেই জমির মালিক Brazel আরো শক্ত মানুষ। তার মুখ থেকে জুলাইয়ের ৯তারিখের পর থেকে তিনি বেচে থাকা পর্যন্ত কোন কথাই বের করা যায় নি। অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে তার মুখ থেকে সত্য কথাটি বের করার জন্য। জানতে চাওয়া হয়েছে ঠিক কোন কারণে তিনি মাত্র ১দিনের মাঝে তার বক্তব্য পরিবর্তন করে ফেললেন!!! কিন্তু কোন কথাই বলতে চাইলেন না আর তিনি এই ব্যাপারে। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে এক সাক্ষাতকারে স্বীকার করেন যে জুলাইয়ের ৮তারিখে তার বাবাকে কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে শপথ করানো হয় যে তিনি এই ঘটনার ব্যাপারে কোনদিন কারো কাছে মুখ খুলবেন না। ঠিক কি বিষয়ে কথা বলবেন না এইটার কারণও তিনি তার ছেলেদের দেন নি। শুধু ছেলেদের তিনি এই শপথের ঘটনার কথা জানিয়ে যান।
জমির মালিক বিখ্যাত William "Mack" Brazel
এভাবেই একটি গুরুত্বর্পর্ণ ঘটনাকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা ভাবেনি এই বিতর্ক আজ এতদিন পরেও ৬৫বছর পরেও এসে চলবে। মানুষজন বিশ্বাস করতেই নারাজ সরকারের এইসব দাবিকে। সবার ধারণা আসলেই সেদিন পৃথিবীর বাইরে থেকে কিছু একটা এসেছিলো। যেটা সাধারণ মানুষকে সরকার দেখতে দিতে চায় না। আজ ৬৫ বছর পরেও সেই Roswell ঘটনার ফাইলটি আমেরিকার টপ সিক্রেট ফাইলটির মাঝে একটি। সরকারের অনেক উচু লেভেলে হাতেগোণা কয়েকজন সেই ফাইলটি দেখতে পায়। তারাই জানে আসল ঘটনা।
এখন অন্য সবার মতো আমারও শুধু তাদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন:
* একটি ওয়েদার বেলুন এবং ডিস্ক বা সসার আকৃতির বস্তুর মাঝে আকার-আয়তনে অনেক পার্থক্য। ডিফেন্সের উচু অফিসারদের কি করে এত বড় ভুল হয়ে গেলো যে তারা সামনা সামনি দেখে এবং হেডকোয়ার্টারে বস্তুটি ধ্বংসাবেষ পৌছে দেয়ার পরেও জুলাই ৮তারিখ পর্যন্ত সেটিকে ডিস্ক বা সসার বলে ভেবে নিয়েছিলো???
** আচ্ছা ঠিক আছে আপনাদের কথাই ঠিক। এইটা আসলে ওয়েদার বেলুনই। ওয়েদার বেলুনের দূর্ঘটনায় পড়ার অনেক ইতিহাস রয়েছে আমেরিকায়। তাহলে Roswell এর এই সাধারণ একটি ওয়েদার বেলুনের দূর্ঘটনাকে এত নিরাপত্তা এবং গোপনীয় করে রাখার দরকার কি?? গোপন করে রাখার একটি সীমা আছে......সাধারণ একটা ঘটনাকে এতই গোপনীয় করে কেন রাখা হলো যে আজ ৬৫বছর পরেও কেন কেউই এই সম্পর্কে জানতে পারবে না???
সরকার থেকে দেয়া এই রিপোর্টটি পড়ুন। ১৯৫০সালের এই রিপোর্টেও সেইখানে সসারের মতো বস্তু পাবার কথা লেখা আছে।
আর Major Marcel তো পরে স্বীকার করেই নিয়েছেন যে Brig. Gen. Roger M. Ramey এই ঘটনাটি নিয়ে একটি কভার স্টোরি বানিয়েছেন, মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন এবং তিনি তার নির্দেশ অনুযায়ী সেসময় কাজ ও সব কথা বলে গেছেন।
এলিয়েন থাকার দাবী:
আরেকটা মজার ঘটনা পরে এখনো অনেকে বলে। বলা হয়ে থাকে যে এই Roswell ক্র্যাশ সাইট থেকে সেদিন বাইরের পৃথিবীর কোন বা এলিয়েন উদ্ধার করা হয়।
এটা নিয়ে পরে অনেকের মত:
*সেই বস্তুটির ধ্বংসাবেষ যখন হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হচ্ছিলো তখন কঠোর গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়। সরকারের অণেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আনাগোনা দেখা শুরু হয় সেখানে। সবকিছুকে ছাপিয়ে একটি বিশেষ বক্সের মতো জিনিসকে নিয়ে সবার মাঝে চাপা উত্তেজনা ছিলো। কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে সেটির কাছে ঘেষতে দেয়া হচ্ছিলো না।
**সেই জমির মালিক Brazel তার মৃত্যুর আগে তার ছেলেকে বলে গিয়েছিলেন যে তিনিও সেদিন বস্তুটি ছাড়াও অণ্য কিছু একটা দেখতে পেয়েছিলেন। মানুষ নয় অন্য কিছু!!!!
***সবচেয়ে অবাক করার মতো কথা বলেন Project Apollo astronaut Dr. Edgar Mitchell। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন যে: Roswell এর ঘটনা সবার থেকে চাপিয়ে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভুল বুঝবেন না আমি কিন্তু একজন নভোচারী হিসেবে অনেক কিছুই জানতে পারি পরে এসে। খুব কম মানুষই ঘটনাটি জানে এবং আমার ধারণা মতে কোন এলিয়েন পাওয়া যেতে পারে সেদিন।
###সবশেষে এই Roswell এর ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই চমৎকার ডকুমেন্টারীর লিংকটি দিলাম। জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই দেখবেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাত আছে। সায়েন্টিফিকভাবে পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি দিয়ে আসল ঘটনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পড়া শেষ!!! কি মনে হয় এখন আপনার??? কি হয়েছিলো আসলে সেদিন??? আসলেই কি সেদিন পৃথিবীর বাইরের কোন কিছু পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিলো??? কেনই বা সবার কাছে থেকে সেদিন সবকিছু গোপন করে রাখা হলো???? তাহলে এমন কি তথ্য পেয়েছিলো তারা সেদিন যা মানুষ জানলে সমস্যা হতে পারে???? না আসলেই সেটা ওয়েদার বেলুন ছিলো???? তাহলে এত নাটক এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তাই বা কেন?????
হ্যাকিং নিয়ে কিছু মুভি...
ভাইয়েরা তোমার বোনেরা আমার... পুরোটাই কিন্তু অন্য সাইট থেকে মাইরা নেওয়া...
উৎসর্গ: বাংলাদেশ সাইবার আর্মির সকল মেধাবী সাহসী যোদ্ধাদের।
বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সাইবার আর্মির ‘সাইবার ওয়্যার এ এখন বেশ উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। একইসাথে’ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টিকে নিয়েছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার কমিউনিটিগুলো। একাধিক আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ ইতিমধ্যে বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপের পক্ষ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ‘ব্লাকহ্যাট হ্যাকার’ গ্রুপের একজন মডারেটর। প্রিয় টেক কে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ জেডএইচসি এবং দ্যা হ্যাকার আর্মি ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশী হ্যাকাররাও বেশ দক্ষ। ভারত তাদের সীমান্ত হত্যাকাণ্ড না থামালে আমরা পুরো ভারতের সাইবার স্পেস কে ‘হেল’ বানিয়ে দিবো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং আলোচিত হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাসও বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপগুলোর সঙ্গে কাজ করবে বলে ইতিমধ্যে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অ্যানোনিমাস অফিসিয়ালি কোন ভিডিও প্রকাশ করেনি বা তথ্য দেয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশী ব্লাকহ্যাট হ্যাকার গ্রুপের একজন মডারেটর জানান, অ্যানোনিমাসের শীর্ষস্থানীয়দের থেকে ইতিমধ্যে আমরা সম্মতি পেয়েছি।
-----------------------------------------------------
অ্যানোনিমাস যদি যোগ দেয় ইন্ডিয়ার সাইট গুলোর অস্তিত্ব সঙ্কটে পরবে ।
-----------------------------------------------------
দেখি এবার ইন্ডিয়া সীমান্ত হত্যা বন্ধ না করে কই যায় ; আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করায় এইসব বিদেশী হ্যাকারদের জানাই মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা।
Untraceable
এই মুভিটা বেশ ইন্টারেস্টিং। মুভিতে দেখা যায় একজন রহস্যময়/অচেনা লোক কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে বন্দী করে নিয়ে আসে। তারপর তাদের এক আজব পদ্ধতিতে মারার জন্য ব্যবস্হা করে। আজব কারণ সে সেই বন্দীদের ইন্টারনেটে লাইভ স্ট্রিমিং করে এমনভাবে সব গুছিয়ে রাখে যাতে যত বেশী হিট ওই ওয়েবসাইটে হবে আস্তে আস্তে ওই লোকটি ততই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে। আমেরিকার প্রশাসনের সব কম্পিউটার বিশেষজ্ঞরা সেই সাইটটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু কোনভাবেই পারছে না তারা সেই কাজটি করতে।
Sneakers
এই মুভিটির গল্প একদল কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ দলকে নিয়ে। যাদের কাজ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্হাকে আরো উন্নত করা এবং চেক করে দেখা। কিন্তু একদিন তাদের কাছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্হা থেকে কিছু অফিসার আসে। তারা তাদেরকে বলে ‘ব্ল্যাক বক্স’ নামের খুব দরকারী ও গোপনীয় একটি সরকারী ফাইল তাদেরকে বের করে দিতে। ফাদে পড়ে তারা বাধ্য হয় কাজটি করতে। কিন্তু সেই কাজটি করার পর কাহিনী অন্যদিকে মোড় নেয়। সবার জীবন বিপন্ন হয়ে উঠে।
ব্লগার মুনতার সৌজন্যে
Live free or die hard
এটা তো মারাত্মক একটি মুভি। দেখে ফেলেছেন মনে হয় সবাই। না দেখা হলে দেখে ফেলুন। চরম একটি মুভি। কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবহারে অভস্ত্য আমেরিকার উপর এক ভয়ানক টেররিস্টদের দল আক্রমণ চালায়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে তারা সবকিছু প্রায় দখল করে ফেলে। দেশের সরকার এবং সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। আমাদের সবার প্রিয় অফিসার John McClane সেই দলটিকে ধ্বংস করার কাজে ঝাপিয়ে পড়ে। জটিল।
Takedown
এই মুভিটি সত্য কাহিনীর উপর নির্মিত। Kevin Mitnick নামের একজন বিখ্যাত হ্যাকারকে নিয়ে এই মুভি। সে একজন বেশ প্রতিভাবান কম্পিউটার জিনিয়াস এবং হ্যাকার। প্রায়ই নানা জায়গায় সে কারণ-অকারণে হ্যাক করে থাকে। ভালোই চলছিলো সব। কিন্তু একদিন সে আরো বড় চ্যালেন্জিং কিছু করার জন্য computer crimes expert Tsutomu Shimomura এর কম্পিউটার হ্যাক করে ফেলে। ঘটনা তখন আর সাধারণ দিকে থাকে না। জমে উঠে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক মজার খেলা।
WarGames
বেশ ভালো মুভি। মুভিটির কাহিনী একজন তরুণ কম্পিউটার জিনিয়াসকে নিয়ে। হঠাৎ করেই একদিন সে গেম খেলতে খেলতে আমেরিকার নিউক্লিয়ার বোমার নিয়ন্ত্রণকারী সুপার কম্পিউটারের মাঝে প্রবেশ করে ফেলে। কন্ট্রোল তার হাতে চলে আসে। কিন্তু সে ব্যাপারটি বুঝতে পারে না। সাধারণ একটি কম্পিউটার গেম মনে করে সে খেলতে থাকে। এদিকে তার এই কাজে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মাঝে অনেক কিছু ঘটতে শুরু করে। পৃথিবী এগিয়ে যেতে থাকে ৩য় বিশ্বযুদ্ধের দিকে। দারুণ মুভি।
Eagle Eye
সমগ্র আমেরিকার নিরাপত্তা ব্যবস্হা এখন স্বয়ংক্রিয়। ‘Eagle Eye’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রোগ্রাম এখন সবকিছু দেখে। বেশ ভালোভাবেই চলছিলো সব। কিন্তু হঠাৎ করে সেই প্রোগ্রামের একজন অফিসার সন্দেহজনকভাবে মারা যায়। তার যমজ ভাইও কিছু না জেনে ফাদে পড়তে থাকে। সাথে যোগ হয় আরেকজন মহিলা। তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করা হয় কিছু কাজ করার জন্য। গোয়েন্দাসংস্হার লোকজন তাদের হন্য হয়ে খুজতে থাকে। কিন্তু কেউই বুঝতে পারে না আড়ালে খুব শক্তিশালী একজন সবকিছুর কলকাঠি নাড়ছে। খুব ভয়ংকর তার পরিকল্পনা।
Antitrust
Milo নামের একজন জিনিয়াস কম্পিউটার প্রোগ্রামারকে নিয়ে এই মুভি। ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে সে খুব বিখ্যাত এবং বিশাল বড় একটি কোম্পানীতে চাকরী নেয়। সেই কোম্পানীর বস তার সবসময়ের আইডল। হঠাৎ করে একদিন তার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু খুন হয়। সেই খুনের ঘটনাটি আরো বিস্তারিত জানতে গিয়েই চমকে দেয়া অনেক কিছু হাজির হতে থাকে তার কাছে। বুঝতে পারে কাউকে বিশ্বাস করা উচিত নয় আর। তার জীবনের পিছনেও লেগে যায় একদল।
The Score
Nick একজন পেশাদার অপরাধী। জেল থেকে ছাড়া পাবার পর সে সব খারাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে ভালো পথে চলে আসার চিন্তা করে। কিন্তু এমন সময় তার কাছে খুব বড় একটি কাজের অফার আসে। করবে না ভেবেও সে লোভে পরে কাজটি হাতে নেয়। খুব বড় এবং বিপদজনক একটি কাজ। কিন্তু করতে পারলে টাকা পাওয়া যাবে অনেক। এজন্য দরকার খুব প্রতিভাবান একজন কম্পিউটার হ্যাকার। সব কিছু গুছিয়ে কাজটি করার জন্য রওনা হয় সবাই। তারপর ঘটনা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নিয়ে নেয়।
Swordfish
গল্পটি দূর্ধর্ষ একটি অপরাধীর দল এবং একজন কম্পিউটার জিনিয়াসকে নিয়ে। তারা সেই কম্পিউটার জিনিয়াসকে ব্ল্যাকমেইল করে ধরে নিয়ে আসে। সেই অপরাধীর দল খুব বড় একটি ব্যাংক ডাকাতীর পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে। বিনাদ্বিধায় তারা মানুষ খুন করে ফেলতে পারে। সবকিছু পরিকল্পনা করে তারা সেই কম্পিউটার জিনিয়াসকে নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে যায়। কিন্তু সেই দিনটিতে নানা বিপত্তি এবং একেরপর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। যতটা সহজে সব হবার কথা ছিলো সেটি আর সম্ভব হয়ে উঠে না। শুরু হয় ভয়ংকর এক খেলা।
Hackers
বেশ মজার মুভি। Murphy ১১বছরের একজন কম্পিউটার জিনিয়স হ্যাকার। মাত্র এই বয়সেই সে একদিনে প্রায় ১হাজারের উপর কম্পিউটার সিস্টেম ক্র্যাশ করে দেয়। এমনকি নিউইয়র্ক স্টক মার্কেটে তার জন্য ৭পয়েন্ট কমে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাস্তি হিসেবে ১৮বছর বয়স হবার আগে তাকে কোন প্রকার কম্পিউটারের সামনে বসার উপর নিষেধাজ্ঞা করে রায় দেয় আদালত। একসময় তার বয়স ১৮ শেষ হয়। কিন্তু আগের সেই নেশা এখনো যায়নি। বরং বেড়েছে। এবার সে আরো কয়েকজনকে নিয়ে বিশাল এক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে।
The Social Network
আমার খুব প্রিয় এবং বিখ্যাত একটি মুভি। দেখে ফেলেছেন অনেকেই। এই মুভিটি ঠিক হ্যাকিং মুভির মাঝে পড়ে না। হ্যাকিং বলতে একটি ঘটনা প্রথম ৩০মিনিটে কিছুটা ছিলো। Facebook ব্যবহার করেন না এমন মানুষ বর্তমানে খুব কমই আছে। এর প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg কেও সবাই চিনেন। তারই জীবনকাহিনী এই মুভি। কিভাবে Mark ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করলেন, কে কে ছিলেন এর পিছনে এবং কি ধরণের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিলো তাকে এর জন্য সেটিই দেখানো হয়েছে এই মুভিতে। মাস্ট সি।
Subscribe to:
Posts (Atom)